যশোরের কেশবপুর উপজেলার সরসকাটি বাজারে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিকেলে সংঘটিত এক সংঘর্ষে অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কেশবপুর উপজেলা যুবদলের নেতা ও সাংবাদিক মনিরুল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে খুলনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এঘটনায় আহতরা হলেন— মনিরুল ইসলাম,কাশেম গাজী, জাকির হোসেন ও মিজানুর রহমান। প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের স্বজনরা জানান, উপজেলার বরনডালি গ্রামের মোঃ মশিয়ার গাজীর ছেলে বহুল আলোচিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আমলে এসপি, ওসি,ও প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গাইয়ে বিভিন্ন অপকর্মের নায়ক মোঃ রেজা হাসান সবুজ ও সামসুর রহমান এর ছেলে মোঃ রুবেল সালাউদ্দিন সহ ৬/৭ জন যুবক পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সরসকাটি বাজারে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। হামলায় লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করায় মনিরুল ইসলাম গুরুতর আহত হন এবং তাৎক্ষণিকভাবে তাকে খুলনায় রেফার করা হয়। সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হামলার সময় বাজারের লোকজন একত্রিত হয়ে ধাওয়া করে ৩ অভিযুক্ত—বহুল আলোচিত সবুজ, লিটন ও সালাউদ্দিনকে গণধোলাই দিয়ে একটি দোকানে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দিলে চিংড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই শামীম সহ পুলিশের একটি টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের হেফাজতে নিয়ে ক্যাম্পে রাখে।
এ বিষয়ে চিংড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই শামীম হোসেন জানান, “সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ জনকে ক্যাম্পে আনা হয়েছে মামলা বা অভিযোগ না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে আটক দেখানো যাবে না । এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা দ্রুত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন