আজ ১৫ই জুন, রবিবার, বিশ্ব বাবা দিবস।যুক্ত রাষ্ট্রে ১৯১০ সালের তৃতীয় রবিবার বাবা দিবস পালিত হয়ে আসছে।
বাবা যেভাবে পরিবারের জন্য আত্মত্যাগ করেন, তাদের সেই ত্যাগের স্বীকৃতি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ বাবা দিবসের মূল কথা। এই দিনে বাবা ও সন্তানের সম্পর্কের গভীরতা নিয়ে আলোচনা হয়। এই সম্পর্ক অনেক সময় দূরত্ব, কঠোরতা, কিংবা আবেগ লুকানোর মধ্য দিয়ে গঠিত হয়, তাই দিনটি আবেগ প্রকাশের সুযোগ করে দেয়।বাবারা শুধুমাত্র রুটিরুজির দায়িত্ব পালন করেন না, বরং সন্তানের মানসিক বিকাশে, ঘরের কাজে, এমনকি সন্তানের স্কুলে অংশগ্রহণেও সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। যেসব বাবা আর নেই বা সন্তানদের থেকে দূরে আছেন, তাদের স্মরণ করে এই দিনটি আরও আবেগঘন হয়ে ওঠে। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিক থেকে বাবা দিবস পালনের প্রচলন হয়। পৃথিবীর সব বাবাদের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছা থেকেই যার শুরু। মায়েদের পাশাপাশি বাবারাও যে তাদের সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল এটা বোঝানোর জন্যই এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ দিবসটি ভিন্ন ভিন্ন দিনে পালন করা হয়। বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাবা দিবস পালন করা হয় জুন মাসের তৃতীয় রবিবার। দক্ষিণ আমেরিকায় দিবসটি পালিত হয় ১৯ মার্চ। আর অস্ট্রেলিয়া ও ফিজিতে পালন করা হয় সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম রবিবার।মা-এর পাশাপাশি বাবাও যে সন্তানের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ এ ধারণা ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে দানা বাঁধতে শুরু করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯১৩ সালে আমেরিকান সংসদে বাবা দিবসকে ছুটির দিন ঘোষণা করার জন্য একটা বিল উত্থাপন করা হয়।জুন মাসের তৃতীয় রোববার প্রতি বছর বিশ্বের ১১১ দেশে পালিত হয় বাবা দিবস। পৃথিবীর সব বাবার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছা থেকেই দিবসটি পালন করা শুরু হয়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ সেপ্টেম্বরের প্রথম রোববার বাবা দিবস পালন করে থাকে। প্রতিটি পরিবারই নিজেদের মতো করে পালন করবে দিনটি। সম্মান জানাবে তাদের বাবাকে।ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯০৮ সালের ৫ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জেনিয়ার ফেয়ারমন্ট এলাকার এক গির্জায় ‘বাবা দিবস’ প্রথম পালিত হয়।ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল বাবারা।অটুট থাকুক বাবা ও সন্তানের ভালো বাসা।