যশোর শহরের বকচর এলাকায় একজন ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে দশটি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকাল দশটার দিকে। পরে ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন পুরাতন কসবা কাঁঠালতলা এলাকার মিজানুর রহমান। বিবাদীরা হলেন চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকার পাভেল শহীদ সরোয়ার, বকচরের রেজাউল, সাগর, নাহিদ, রেজা, আবুল ও শামীম। এতে ব্যবসায়ীর ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
অভিযোগে মিজানুর রহমান উল্লেখ করেছেন, যশোর-খুলনা মহাসড়কের বকচর মাদ্রাসার পাশে ৮৮ নম্বর মৌজায় তার ৬১ শতক জমি রয়েছে। যেখানে তিনি দোকানঘর নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ভোগদখলে ছিলেন। জমিটি নিয়ে বিবাদী পাভেল সহিদ সরোয়ারের সাথে বিরোধ চলছিল। যা নিয়ে আদালতে মামলাও বিচারাধীন রয়েছে। এরমাঝে সোমবার সকাল ১০টার দিকে তাকে বকচর এলাকায় পেয়ে পাভেলসহ ২০-২৫ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী তারই একটি দোকানে আটকে রাখে। অন্যদিকে দোকানঘরে ভাঙচুর শুরু করে। এসময় তিনি কৌশলে ৯৯৯ এ কল করলে পুলিশ যেয়ে তাকে উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, মূলত পাভেল সরোয়ারের বাড়ি ঢাকাতে। তিনি নারায়নগঞ্জের সাবেক এমপি শামীম উসমানের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে তার জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি নিয়ে মামলাও হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এতদিন পাভেল আত্মগোপনে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি আবারও তার জমি ও টাকা আত্মসাতের পায়তারা করছেন। বর্তমানে পাভেল স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের ব্যবহার করছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তারা অধিকাংশই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত।
যশোর কোতোয়ালি থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, অভিযোগ আমলে নিয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।