ঘুষ দিয়ে অবৈধ সুবিধা আদায়ের চেষ্টা এবং কারাবিধি ভঙ্গের অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আ স ম ফিরোজের ‘ডিভিশন’ বাতিল করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে তিনি চোর-ডাকাত ও মাদক মামলার আসামিদের সঙ্গে সাধারণ সেলে রয়েছেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা গেছে, আ স ম ফিরোজ সম্প্রতি গরমের অজুহাতে এয়ারকন্ডিশনার (এসি) ব্যবহারের অনুমতি চান এবং বাসা থেকে খাবার আনার বিশেষ সুবিধা দাবি করেন। অভিযোগ রয়েছে, এসব সুবিধা আদায়ের জন্য তিনি ঘুষ দেওয়ারও চেষ্টা করেন। বিষয়টি কারা কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও অন্যান্য প্রমাণের ভিত্তিতে তার ডিভিশন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার জানান, “আ স ম ফিরোজ কারাবিধি লঙ্ঘন করেছেন। সুনির্দিষ্ট তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে কিছুদিন আগে তার ডিভিশন বাতিল করা হয়েছে।”
আওয়ামী লীগের নাম কখনও মুখেও নিব না। রনগোপালদী ইউনিয়নের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ।
কাশিমপুর কারাগার সূত্রে আরও জানা যায়, আ স ম ফিরোজ শুধু অবৈধ সুবিধা আদায়ের চেষ্টাই করেননি, বরং কর্তব্যরত কারারক্ষীদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেছেন। এই অসদাচরণের কারণেই তার বিশেষ শ্রেণির বন্দির মর্যাদা (ডিভিশন) প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, “কোনো বন্দি যদি কারাবিধি ভঙ্গ করেন, তাহলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হয়। ডিভিশনপ্রাপ্ত হলেও সে সুবিধা টিকে থাকে না। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার অধিকার জেল সুপারের রয়েছে।”
ডিভিশন বাতিল হওয়ার পর আ স ম ফিরোজকে সাধারণ সেলে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানে তিনি অন্যান্য সাধারণ বন্দিদের মতোই জীবনযাপন করছেন এবং কারা কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত খাবার গ্রহণ করছেন। তার ব্যবহারের জন্য শুধুমাত্র একটি সিলিং ফ্যান বরাদ্দ রয়েছে।