বগুড়াতে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের অনুষ্ঠানের হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন যশোরের সাংস্কৃতিক কর্মীরা। ১৬ মে (শুক্রবার) বিকেলে শহরের ঈদগাহ মোড়ে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী যশোর সংসদের আয়োজনে প্রতিবাদী সমাবেশ হয়। এ সময় তাঁরা সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত ও প্রতিবাদী গান পরিবেশন করেন।
সমাবেশে বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে প্রতিবাদী গান পরিবেশন করেন সাংস্কৃতিক কর্মীরা। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের সমস্ত অর্জন ধূলিসাৎ করে নতুন কোনো ফ্যাসিস্ট অপশক্তি যেন জন্ম না নিতে পারে, এ আহ্বান জানান বক্তারা।
বক্তারা বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকেই একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী একের পর এক ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিল্পী, সংস্কৃতি ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। উদীচী স্বাধীনতার কথা বলে, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে। উদীচী স্পষ্ট করে বলতে চায়, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার চেতনার সঙ্গে যারাই বেইমানি করার চেষ্টা করবে, সাধারণ মানুষ তাদের প্রতিরোধ করবে। এক ফ্যাসিবাদী অপশক্তির বিদায় হয়েছে, নতুন করে যেন আর কোনো ফ্যাসিস্টের জন্ম না হয়, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টির রাখার জন্যও সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
উদীচী যশোর সংসদের সভাপতি আমিনুর রহমান হিরু বলেন, ‘স্বাধীনতা ও সংস্কৃতির প্রতীক জাতীয় সংগীতের ওপর হামলা দেশের চেতনার ওপর আঘাত। আমরা জাতীয় সংগীত গাইলে আমাদের গায়ের লোম কাঁটা দেয়; আর স্বাধীনতাবিরোধীদের গায়ে জ্বালা ধরে। জাতীয় পতাকা আজ খামচে ধরেছে শকুনেরা। তাই আজ তারা জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের কথা বলে। ’৭১-এর পরাজিত শক্তিরা এ খেলার ধৃষ্টতা নতুন করে দেখাচ্ছে।’a