বাংলাদেশিরা কুয়েতে আসার আগে এই দেশটির ভিসা ক্যাটাগরি,কাজের ধরন-বেতন,সুযোগ-সুবিধা ও কোম্পানি বা কফিল এর চুক্তিপত্রে নিজেদের স্বার্থ রক্ষিত হচ্ছে কী না এসব ভালো করে যাচাই-বাছাই করে দেখে নিতে হবে।
কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব কুয়েতের সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার (১৩ মে) কুয়েতের মিসিলাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, কুয়েত থেকে পাওয়া ভিসাটি বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েত কর্তৃক সত্যায়িত আছে কী না সেটিও দেখে নিতে হবে।
তিনি বলেন, এসব বিষয় গুলো দেখে না আসার কারণে অনেকেই ভিসা দালালদের দ্বারা প্রতারিত হচ্ছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, যেকোনো কোম্পানি দূতাবাস কর্তৃক ভিসা সত্যায়িত এর জন্য আবেদন করা হলে আমাদের মিশনের পক্ষ হতে প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে "শ্রমিকদের কাজের ধরন,বেতন,থাকার ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সকল সুযোগ-সুবিধা গুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে দেখে তারপরই ভিসা সত্যায়িত করা হয়।
ভিসা দালালদের কাছ থেকে ভিসা নিয়ে কুয়েতে আসা কোনোভাবেই ঠিক হবেনা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, সম্ভব হলে বৈধপথে সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড "বোয়েসেল" এর মাধ্যমে কুয়েতে আসা যেতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি আমদানির লক্ষ্যে রাষ্ট্রদূত নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে জানান যে, ইতিমধ্যে কুয়েতের স্থানীয় মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এনিয়ে আলোচনা হয়েছে;এবিষয়ে ইতিবাচক সাড়াও পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশেও এবিষয়ে কথা হয়েছে,দক্ষ জনশক্তির একটি পরামর্শ পত্র মিশনে পাঠানোর আবেদন জানানো হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, কাউন্সিলর ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব কুয়েতের সভাপতি মইন উদ্দিন সরকার সুমন, সাধারণ সম্পাদক আ হ জুবেদ, সহ-সভাপতি আল আমিন রানা,যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ হেবজু মিয়া,সাংগঠনিক সম্পাদক সাদেক রিপন,আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মো: সেলিম হাওলাদার, সাংবাদিক আহাদ আম্বিয়া খোকন, সাংবাদিক আলাল আহমদ,সাংবাদিক জসিম ভুইয়া, কবি ও সাংবাদিক নাসরিন আক্তার মৌসুমিসহ আরও অনেকে।